‘বিশ্বের বৃহত্তম সেল ডে’ দারাজে

টেক-নিউজ : দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি, দারাজ, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এলো ‘বিশ্বের বৃহত্তম সেল ডে’- ১১.১১ । নতুন দারাজ অ্যাপ চালু হওয়ার পর এই মেগা ইভেন্টের সময় গ্রাহকরা প্রকৃতপক্ষে পারসনালাইজড এবং সুপারচার্জড লাইনআপ আশা করতে পারেন। দারাজ ১১.১১ এমন একটি ইভেন্ট যা অন্য সব ইভেন্টের চেয়ে আলাদা। এবং এটি দেশীয় ইকমার্সে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম।

আগামী ১১ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে অনলাইন ভিত্তিক সবথেকে বড় মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে দারাজ। এই মেলার ফলে নির্দিষ্ট ঐ দিনের পুরো ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন পণ্যে সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাবেন গ্রাহকেরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দারাজের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশেষ কিছু দিন বা শুক্রবারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মূল্যছাড়ে পণ্য বিক্রির একটি প্রচলন আছে। আমাজন প্রাইম এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডে এদের মধ্যে অন্যতম। আগামী ১১ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে আয়োজিত দারাজের এই আয়োজন হবে এদের সবার থেকে বড়। আলীবাবার উদ্যোগে দারাজের এই আয়োজন আমাজন প্রাইমের থেকে অন্তত ১৮ গুণ এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডের থেকে আড়াই গুণ বড় হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়াও ১১.১১-তে গ্রাহকদের জন্য অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ১১ টাকায় ডিল, মিস্ট্রি বক্স, ডাবল টাকা ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেল ব্র্যান্ড ভাউচার, ব্যাংক ডিসকাউন্ট এবং আরো অনেক কিছু।

সংবাদ সম্মেলনে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্মার্টফোন ভিত্তিক দারাজের নতুন অ্যাপসের নানা দিক তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়ক মোস্তাহিদল হক বলেন, “দারাজ অ্যাপ আপনার জন্য কী নিয়ে এসেছে তা একবার বুঝে গেলে আপনি পরিস্কার ভাবে অনুভব করতে পারবেন ১১.১১ ক্যাম্পেইন এর আগে এবং পরে তাদের মধ্যকার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। আমাদের এবারের ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের ই-কমার্স ইতিহাস একটি অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এমনটা আগে কখনও হয়নি আমাদের দেশে। ১১.১১ ক্যাম্পেইনটি শুধুমাত্র ডিল এবং ছাড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের সমগ্র ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মধ্যে আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় পার্সোলাইজেশন, বিনোদন, আকর্ষণীয় ডিল, সুরক্ষিত পেমেন্ট সমাধান। চার লাখেরও বেশি পণ্য ভান্ডার এখানে পাবেন গ্রাহকেরা”।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের সৈয়দ মোস্তাহিদল হল বলেন, “দারাজ এখন বড় পরিসরে অর্ডার গ্রহণ ও ডেলিভারি দিতে সক্ষম। আলীবাবা প্রতি সেকেন্ডে ২৩ লক্ষ লেনদেন করতে সক্ষম হয়। আলীবাবার এই প্রযুক্তিতে দারাজ এখন আগের থেকে আরও বড় পরিসরে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে এখন প্রায় ৩০ লক্ষ গ্রাহক অনলাইনে কেনাকাটা করে। এর প্রায় ৯০ ভাগ গ্রাহকই দারাজের। এই সংখ্যাটাকে আমরা ৩ কোটিতে নিয়ে যেতে চাই”।

তিনি আরও বলেন, ‘দারাজ অ্যাপ আপনার জন্য কি নিয়ে এসেছে তা একবার বুঝে গেলে আপনি পরিষ্কার ভাবে অনুভব করতে পারবেন- ১১.১১ এর আগের এবং পরের দারাজের মধ্যকার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এবারের ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের ই-কমার্স ইতিহাসে একটি অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ১১.১১ ক্যাম্পেইনটি শুধুমাত্র ডিল এবং ছাড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের সমগ্র ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মধ্যে আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় পার্সোনালাইজেশন, বিনোদন, আকর্ষণীয় ডিল, সুরক্ষিত পেমেন্ট সমাধান এবং ৪ লাখেরও বেশি একটি পণ্যভাণ্ডার।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয় ২০০৯ সালে আলিবাবা ১১.১১ ক্যাম্পেইন চালু করেছিল। চলতি বছর চীনভিত্তিক আলীবাবা দারাজ কিনে নিলে এক দশক পরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ১১.১১ ক্যাম্পেইন।

পূর্বের খবরগ্রাহক বাড়ছে ফোরজির, কমছে থ্রিজির
পরবর্তি খবরকৃত্রিম চাঁদ বানিয়ে ইতিহাস তৈরির পথে চিন