জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে গোটা জাতিকে এ শপথ পাঠ করান বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শপথ নেওয়ার সময় শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন তার বোন বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা। সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বর্ণাঢ্য এ শপথ আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কণ্ঠ মেলান জাতীয় সংগীতে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন।
এছাড়া সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে আটটি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বস্তরের মানুষ ভার্চুয়ালি এ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।’
‘আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’