প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে আমরা যে নিজের ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আজ তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। আজ কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এ দিবসটি পালন করছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের অন্য ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে মাতৃভাষাও শিখতে হবে।’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ভাষার অধিকার রক্ষা করা, ভাষাকে সম্মান দেওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলি। আমরা এই ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এর কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে শুরু করি। এর কাজ আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া এবং চলমান ভাষাগুলোর নমুনা এখানে সংরক্ষণ করা। গবেষণা করা, ভাষার ইতিহাস সংরক্ষণ করা। এ জন্য ভাষা জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। কোনও ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’
ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এ সময় ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘‘মাতৃভাষা মানুষের আত্মপরিচয় ও অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বারা মানব ইতিহাসের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবহমান থাকে। পৃথিবীর ভাষাবৈচিত্র্য সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশ এবং বহুভাষিক সংস্কৃতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের প্রকৃত তাৎপর্য। আমরা চাই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই চেতনা সবার মধ্যে সঞ্চারিত হোক। দূরীভূত হোক সকল বিভেদ।সবার মধ্যে জেগে উঠুক স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ। বিশ্বের সকল মাতৃভাষা স্বমহিমায় বিরাজিত থাকুক ও বিকশিত হোক।’’