টেক-নিউজ : ছোটবেলায় শিশু শেখে একে চন্দ্র, দুইয়ে পক্ষ। এ বার বোধ হয় নতুন করে লিখতে হবে এই চিরচেনা ছবি। আকাশে একটা নয়, দেখা যাবে দুটো চাঁদ। এই দ্বিতীয় চাঁদ তৈরি করবে চীন। ইতিহাসে এটাই হতে চলেছে প্রথম কৃত্রিম চাঁদ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বছর দুয়েকের মধ্যেই এই কাণ্ড করতে চলেছে চীন। রাস্তার বাতিস্তম্ভের পরিবর্তে এই চাঁদই রাতের পথে আলো দেবে। এতে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে বলে জানা যাচ্ছে।
চীনের দক্ষিণ সিয়াচেন প্রদেশের চেংদু শহরে এই কৃত্রিম চাঁদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে ২০২০ সালের এই উৎক্ষেপণ নিতান্তই পরীক্ষামূলক। সফল হলে আরও তিনটি চাঁদ আকাশে পাঠানো হবে।
তিয়ান ফু নিউ এরিয়া সায়েন্স সোসাইটির তরফ থেকে সংস্থার কর্ণধার উ চানমেং জানিয়েছেন, সমস্ত পরীক্ষা সফল হলে ২০২২ সালে যে চাঁদটিকে পাঠানো হবে সেটিই স্থায়ী ভাবে আকাশে থেকে আলো দেবে ওই এলাকায়, যা সামাজিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্ভাবনাময় এক দিককে তুলে ধরবে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১০ অক্টোবর তিনি এ ব্যাপারটি জনসমক্ষে আনেন।
জানা গিয়েছে, ওই নকল চাঁদ সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে আলো দেবে। অবিকল সত্যি চাঁদের মতোই। তবে চিনের এক দৈনিকের দাবি, এই কৃত্রিম চাঁদের আলো সত্যি চাঁদের আলোর থেকেও আট গুণ উজ্জ্বল হবে।
এই নকল চাঁদের নিক্ষেপ সফল হলে বাৎসরিক প্রায় সতেরো কোটি ডলারের বিদ্যুৎখরচ বাঁচবে। কেননা রাতের বেলায় কোনও স্ট্রিট ল্যাম্প জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না।
তবে সত্যিই এমন কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-র তরফে উ চানমেং বা তাঁর সংস্থা তিয়ান ফু নিউ এরিয়া সায়েন্স সোসাইটির যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
যদি সত্যিই চিন তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে, তাহলে তা বিশ্বের বাকি দেশগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশই পরিকল্পনা নিতে পারে তাদের তরফে কৃত্রিম চাঁদ আকাশে উৎক্ষেপণ করতে। হয়তো ভারতও। সেক্ষেত্রে আমরাও এদেশের আকাশে দুটো চাঁদ দেখার অপার্থিব অভিজ্ঞতায় সামিল হতে পারব।
সূত্র : এবেলা.ইন