টেক-নিউজ : মোবাইল কলরেটের পর এবার ইন্টারনেটের দামও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। দাম নির্ধারণে এখন কাজ চলছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম কত হবে তা ঠিক করার প্রথম পর্যায়ে অপারেটরগুলোর কাছ হতে প্রস্তাব চেয়েছে কমিশন।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথম ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করে বিটিআরসি, যা কিছুদিন আগে নতুন করে ঠিক করা হয়।এদিকে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় ‘কস্ট মডেলিং’ করা হলেও সেটিকে পাশে রেখে এবার এই মূল্যসীমা নির্ধারণে কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কস্ট মডেলিংয়ে পাওয়া তথ্যকে ভিত্তি ধরে কাজ করলে গ্রাহকের খরচ আরও বেড়ে যাবে। তাই ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণে অপারেটগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহরডটকমকে বলেন, ‘আইটিইউকে দিয়ে ইন্টারনেট বা ডেটার কস্ট মডেলিং করা হয়েছে। আমরা এখন অপারেটরগুলোর ডেটার মেয়াদ ও খরচের বিষয়ে জানি। এই কস্ট মডেলিং সাজেস্ট করে যে, ডেটা ও অন্যান্য জায়গায় হস্তক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে।’
আগে কয়েক দফা আলোচনা হলেও অনেক দিন হতে বিষয়টিতে কোনো গতি ছিল না। তবে সরকার আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মূল্য নির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায় বলে হঠাৎ করেই এ নিয়ে তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত বড় ও ছোট অপারেটরগুলো। শীর্ষ অপারেটরগুলো এর পক্ষে বললেও অন্যদের বক্তব্য হলো সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিলে গ্রাহকদের ফ্রি ডেটা কিংবা অফার তৈরিতে তারা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়বে।
বিটিআরসির হিসাবে আগস্টের শেষে দেশে সব মিলে কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ আছে ৯ কোটি ৫ লাখ। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত আছেন ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার।